১) ব্রোকলি
ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্রোকোলির গুরুত্ব অপরিসীম। এটি ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস এবং একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট যা অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে মানব কোষকে রাখা করতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্রোকলিতে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফটটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে ভূমিকা প্র্রদান করে। ব্রকোলিতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ মানবদেহে একটি স্বাস্থকর ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখতে সাহায্য করে যা ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করে।
২) গ্রীন টি
প্রতিদিন এর খাদ্যাভাসে গ্রীন টি রাখা অত্যন্ত জরুরি যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এক অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। গ্রীন টি সরাসরি ক্যান্সার কোষের উপর প্রভাব ফেলে যা অপপটোসিসকে প্রসারিত করতে এবং এড়াতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। পাশাপাশি, গ্রীন টি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে কোষকে ক্ষতি থেকে রাখা করতে সহায়তা করে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সরাসরি যুক্ত।
৩) বেরি
বেরি হল একটি অন্যতম ক্যান্সার প্রতিরোষক যার মধ্যে উপস্থিত রয়েছে ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিনস এবং মিনারেলস। বের্রীজ এর মধ্যে স্ট্রবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং এলাজিক অ্যাসিড যা অক্সিডেটিভ ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। এটি সম্ভাব্য ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের বিরোধী হিসাবে প্রভাব ফেলে।
৪) গাজর
বর্তমানে ক্যান্সারের সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে গাজরের অবদান অনস্বীকার্য। গাজর হল বিটা-ক্যারোটিনের একটি অন্যতম সেরা উৎস এবং এক ধরণের ক্যারোটিনয়েড যা শরীর ভিটামিনেতে রূপান্তরিত করে। এটি ফ্রীরাডিক্যাল দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতিটি থেকে কোষকে রাখা করে ক্যান্সার প্রতিরোধে সরাসরি সাহায্যের অবদান রাখে।
৫) আপেল
আপেল হল একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ক্যান্সার প্রতিরোধক খাদ্য যা নিত্যদিনের খাদ্যাভাস এ রাখা ভালো ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে দূরে থাকার জন্য। আপেল দ্রবণীয় ফাইবারের একটি উপযোগী উৎস বিশেষ করে পেকটিন। পর্যাপ্ত ফাইবার মানবদেহে হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রেখে একটি স্বাস্থকর অন্ত্রের মাইক্রোবয়াম প্রচার করে ক্যান্সারের ঝুঁকি নির্মূল করে।