পৃথিবীতে এমনকিছু আশ্চর্যজনক জিনিস বা তথ্য আছে যা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই অজানা। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কি এমন গোপনীয় তথ্য।
১) পৃথিবীর গভীরতম বিন্দু
Src: Google
পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম বিন্দু সম্পর্কে সঠিক তথ্য হয়তো প্রায় অনেকের কাছেই আজও অজানা। পৃথিবীর গভীরতম বিন্দু হল চ্যালেঞ্জার ডিপ, যা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেঞ্চে অবস্থিত। ২০১০ সালে এই বিন্দুর গভীরতা ইউনাইটেড স্টেটস সেন্টার ফর কোস্টাল অ্যান্ড ওশান ম্যাপিং দ্বারা পরিমাপ করা হয় এবং এতে দেখা যায় এর গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৬,০৭০ ফুট নিচে যেখানে চ্যালেঞ্জার ডিপের গভীরতা ± ৪০ মিটার।
২) অ্যান্টার্কটিকার লুকানো ইকোসিস্টেম
Src: Google
পৃথিবীর সম্পর্কে না জানা একটি অন্যতম আশ্চর্যজনক তথ্য হল বরফের নিচে অ্যান্টার্কটিকার ‘নদীতে’ আবিষ্কৃত সামুদ্রিক জীবনের ‘লুকানো জগৎ যেখানে অ্যান্টার্কটিক বরফের শেল্ফের নীচে একটি ক্যাথেড্রালের মতো গুহায় জলের নিচে বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে ছোট চিংড়ির মতো অজস্র প্রাণীর ঝাঁক রয়েছে। এটি পৃথীর একটি অন্যতম গোপন তথ্য যা অনেকের কাছেই অজানা।
৩) চীনের মহাপ্রাচীর
Src: Google
চীনের মহাপ্রাচীর প্রায় মানুষের কাছেই জানা তথ্য হলেও এর পিছনে রহস্যময় গল্প অনেকের কাছেই অজানা বা অনেকেই এব্যাপারে সঠিকভাবে বোধগম্য নন। চীনের এই মহাপ্রাচীর ৫- ৮ মিটার উচ্চ (১৬-২৬ ফুট)। চীনের এই মহাপ্রাচীরটি ১৩৬৭০ মাইল জুড়ে বিস্তৃত। সম্রাট কি ন শি হুয়াং গ্রে ট ওয়াল নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই প্রাচীরটি প্রথম তৈরী করতে ২০০০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল। জানা যায়, বিদেশি আক্রমণকারীদের থেকে চীন সাম্রাজ্যকে রক্ষা করতে চিনে এই মহাপ্রাচীরটি তৈরী করা হয়েছিল।
৪) গভীরতম মিঠা পানির হ্রদ
Src: Google
পৃথিবী সম্পর্কে না জানা আর একটি অজানা তথ্য হল বৈকাল হ্রদ যা আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম মিঠা বা স্বাদু পানির হ্রদ যা দক্ষিণ-পূর্ব সাইবেরিয়ায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের ভূপৃষ্ঠের জলের 22 থেকে 23% ধারণ করে। এটি দক্ষি ণ-পূর্ব সাইবে রি য়ায় অবস্থি ত। এর গভীরতা সর্বোচ্চ ১৬৪২ মিটার (৫,৩৮৭ ফুট)। এই হ্রদে রয়েছে ছোট-বড় ২৭টি দ্বীপ।
৫) অক্টোপাস হার্ট
Src: Google
অক্টোপাস – এর হার্ট কয়টি তা নিয়ে অনেকের কাছেই অস্পষ্টতা রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই জানেননা যে অক্টোপাস – এর মোট ৩ টি হৃৎপিণ্ড থাকে যা আংশিকভাবে নীল রক্তের একটি পরিণতি। তাদের দুটি পেরিফেরাল হার্ট ফুলকা দিয়ে রক্ত পাম্প করে যা অক্সিজেন গ্রহণ করতে সাহায্য করে। আর একটি কেন্দ্রীয় হৃৎপিণ্ড পেশিগুলোর জন্য অক্সিজেনযুক্ত রক্তকে শরীরের বাকি অংশে পৌঁছে দেয়।