আজকাল সময়ের অভাবে বহু কর্মরত ব্যাক্তি বিশেষত মহিলারা নিজের শরীরের যত্ন নিয়ে উঠতে পারেনা যার ফলে বয়স পঞ্চাশ পেরোতে না পেরোতেই বয়সের ছাপ প্রকাশ্যে এসে পরে। সাম্প্রদায়িককালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে এবং বয়স পঞ্চাশ এর পর ও তারুণ্যের ছোঁয়া অপরিবর্তনীয় রাখতে হলে মেনে চলতে হবে খুব সাধারণ কয়েকটি নিয়মাবলী। 

১) শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে নিজেকে নিয়মিত ব্যায়াম এবং নমনীয়তা ব্যায়ামের মিশ্রনে নিযুক্ত করতে হবে। দীর্ঘদিন তারুণ্যের ছোঁয়া উপলব্ধি করার জন্য প্রতিদিন হাঁটা, সাঁতার বা যোগব্যায়ামের মতো ক্রিয়াকলাপগুলি সাথে অবিরাম যুক্ত থাকতে হবে যা শারীরিক সুস্থতা এবং সক্রিয়তা বজায় রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করবে।  

২) স্বাস্থকর ওজন বজায় রাখা 

দীর্ঘদিন বয়স ধরে রাখতে হলে পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন প্রচুর ফলমূল, সবুজ শাক সবজি, স্বাস্থকর খাবার, প্রোটিন ইত্যাদি। প্রোটিনযুক্ত খাবার শরীরের ওজনকে নিয়মমাফিক রাখতে সাহায্য করে।  এছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে সাহায্য করে।  এর পাশাপাশি সর্বদা শরীর হাইড্রেটেড রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত জল পান করতে করতে হবে যা বয়স পঞ্চাশ এর পরেও বয়স ধরে রাখতে সক্ষম করে তুলবে। 

৩) ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করা 

বয়সের সাথে সাথে ত্বকের সৌন্দর্য ও বিনষ্ট হতে শুরু করে বিশেষ করে পঞ্চাশ পার করলেই যা বিশাল আকার নেয়। তাই নিজের ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে যা ক্ষতিকারক সূর্যরস্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে এবং অকাল বার্ধক্য থেকে বাঁচাবে। 

৫) মানসিক স্বাস্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া 

Src: Google

মানসিক স্বাস্থকে সক্রিয় রাখার উপর ও তারুণ্যতা নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মানসিক চাপ এ ভুক্তভুগি মানুষদের মধ্যেই বার্ধক্যের ছোঁয়া খুব তাড়াতাড়ি এসে পরে।  তাই সর্বদা স্ট্রেস পরিচালনা করতে হবে এবং মানসিক চাপ কমানোর কৌশলগুলি অনুশীলন করতে হবে যেমন গভীর শ্বাস নেওয়া এবং প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো ইত্যাদি।