১) জগন্নাথ মন্দির 

পুরীর সবচেয়ে বিখ্যাত এবং স্বতঃস্ফূর্ত আকর্ষণ হলো জগন্নাথ মন্দির যা কৃষ্ণের রূপ ভগবান জগন্নাথ কে উৎসর্গ করা হয়েছে যেটি হিন্দুদের একটি প্রধান পবিত্র তীর্থস্থান। বিভিন্ন তীর্থযাত্রীরা রথ যাত্রার সময় এই মন্দির দর্শন করে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করেন। সুতরাং, পুরীর এই প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক জগন্নাথ মন্দির প্রতিটি তীর্থযাত্রীদের একটি বিশেষ ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ভ্রমণ স্থান হয়ে উঠেছে।    

২) পুরি সৈকত 

পুরীর প্রধান সৈকত তার সোনালী বালি এবং প্রাণবন্ত পরিবেশের জন্য সুপরিচিত। পুরীর এই সৈকতটি বিশ্রাম নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং প্রাকৃতিক সামুদ্রিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অপরিসীম। এছাড়াও দর্শকরা এই স্থানে গিয়ে এখানকার সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত ও উপভোগ করে। তাই সমস্ত দর্শক এবং তীর্থযাত্রীদের পুরীতে গিয়ে এই দুর্দান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অমায়িক মুহূর্ত উপভোগ করা উচিত। 

৩) চন্দ্রভাগা সৈকত 

চন্দ্রভাগা সৈকত পুরীর একটি সামুদ্রিক সৈকত যেটি অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পৌরাণিক তাৎপর্য এবং বার্ষিক কোনার্ক নৃত্য উৎসবের জন্য জনপরিচিতি লাভ করেছে।  বিশেষত, এই চন্দ্রভাগা সমুদ্র সৈকতটি  কোনার্ক মন্দিরের উত্থান ও পতনের এক উজ্জ্বলতম সাক্ষী বলে মনে করা হয় । এই সৈকতটির সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে এবং এখানে বিভিন্ন স্থানীয় উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর প্রচলন রয়েছে। জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত বার্ষিক চন্দ্রভাগা মেলা বিভিন্ন তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে।  

৪) রঘুরাজপুর শিল্পী গ্রাম

পুরীর এই স্থানটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প এবং কারুশিল্পের জন্য বিখ্যাত যা ওড়িশা থেকে উদ্ভুত কাপড়-ভিত্তিক স্ক্রল পেইন্টিং এর একটি রূপ। দর্শকরা এই স্থানটি ভ্রমণ করে জটিল এবং হাতে আঁকা শিল্পকর্মগুলিকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ পায় যা থেকে তারা ঐতিহ্যগত কৌশল এবং থিমগুলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং শিখতে পারে। 

৫) সাক্ষীগোপাল মন্দির

 পুরীর এই উল্লেখযোগ্য মন্দিরটি ভগবান কৃষ্ণ কে উৎসর্গ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির যেটি ধর্মীয় সাক্ষী বহন করে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো এই মন্দিরটিতে প্রচুর পরিমানে ভিড় না হলেও এটি প্রার্থনা এবং মননের জন্য একটি নির্মল পরিবেশ যা দর্শকদের একটি শান্ত পরিবেশে আধ্যাত্বিক পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ করে দেয়।