১) বাদাম এবং বীজ

বাদাম এবং বীজ হলো একটি উন্নতমানের পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ খাবার যা প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখলে স্মৃতিশক্তি হবে চাঙ্গা এবং মজবুত।  এই বাদাম এবং বীজে থাকে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ যা উন্নতমানের ব্রেন তৈরিতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা রাখা করতে সহায়ক। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখা উচিত বিভিন্ন ধরণের বাদাম ও বীজ যেমন কাজু, আখরোট, পেকান, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি। 

২) ডিম

স্মৃতিশক্তি মজবুত করার ক্ষেত্রে ডিমের জুড়ি মেলা ভার।  ডিম্ পুষ্টির একটি ভালো উৎস যা মস্তিষ্কের বিকাশে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। ডিমের কুসুম কোলিনের একটি ভালো উৎস যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্বি করে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। এতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা বিশেষ করে শিশুদের স্মৃতিশক্তি উন্নতমানের হতে  সাহায্য করে।  

৩) কমলালেবু

দ্রুত স্মৃতিশক্তি চাঙ্গা করতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কমলালেবু রাখা চাই কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যা খাদ্যাভাসে পরিণত করলে শরীরে প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। এই ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের কোষকে বয়স সম্পর্কিত ক্ষতি থেকে রাখা করে।  

৪) সবুজ শাক সবজি 

প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী হওয়ার একটি প্রধান ও সহজ কার্যকর উপায় হলো প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি গ্রহণ করা। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পালং শাক, ব্রাহ্মী শাক, ব্রকোলি, এবং সবুজ পাতাযুক্ত বিভিন্ন ধরণের সবজি রাখা উচিত যেহেতু এই ধরণের শাকসবজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন-সি যা ছোট থেকে বড় বিভিন্ন বয়সের মানুষের মস্তিস্ক পুষ্ট করে। 

৫) তৈলাক্ত মাছ 

মস্তিষ্কের পুষ্টি বৃদ্ধিতে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নতমানের করে তুলতে তৈলাক্ত মাছের ভূমিকা অতুলনীয়। বিভিন্ন রকমের তেলযুক্ত মাছ যেমন সালমন, সার্ডিন, ম্যাকারেল, মাগুর ইত্যাদি মাছে রয়েছে ভরপুর পুষ্টি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এর উৎকৃষ্ট উৎস যা খুব সহজেই স্মৃতিশক্তি গঠনে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।