১) সানস্ক্রিন এর ব্যবহার
সানস্ক্রিন এর ব্যবহার যেকোনো বয়সের ত্বকের চেহারা ও স্বাস্থ্য রক্ষা করার সবচেয়ে সহজ উপায়। সানস্ক্রিন প্রতিদিন ব্যবহারে অকাল বার্ধক্য আসেনা এবং তার সাথে ক্যান্সার এর মতো মারণ রোগ থেকেও অনেকাংশে বাঁচায়। তাই আপনার দৈনন্দিন রুটিনের মধ্যে সানস্ক্রিন এর ব্যবহার একটি অংশ করে নেওয়া উচিত যা চর্মরোগ এর সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
২) প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরিধান
স্কিনকেয়ার এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস হল সব সময় অথবা যতটা সম্ভব প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরিধান করা বিশেষ করে দিনের বেলায় বাইরে বেরোনোয় সময়। এটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ব্রণের ঝুঁকি কম হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরিধান এক অপরিসীম ভূমিকা রাখে। এছাড়া ঢাকা পোশাকের ব্যবহার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ঘামজনিত ত্বকের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৩) শুস্ক ত্বক ময়শ্চারাইজ করা
মেয়েদের চমকপ্রদ স্কিন কেয়ার টিপস এর মধ্যে শুস্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা একটি প্রধান টিপস। ত্বকে ময়েশ্চারাইজারগুলি ব্যবহারের ফলে ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত হয় এবং তার সাথে জলের স্তর থেকে ত্বকে জল সরবরাহ করে। এটি ত্বককে ঘর্ষণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও স্কিন ময়শ্চারাইজ ভবিষ্যতের ক্ষতি প্রতিরোধ করে সক্ষম যা হাইড্রেটেড ত্বক বজায় রাখতে পারে।
৪) মাস্ক এবং এক্সফোলিয়েট
Src: Google
মেয়েদের স্কিন কেয়ার রুটিনে মাস্ক ও এক্সফোলিয়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান। মাস্ক ব্যবহারের ফলে ত্বকে থেকে অতিরিক্ত তেল, ময়লা ইত্যাদি অপসারণ করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও মাস্কগুলো নির্দিষ্ট ত্বকের সমস্যা বা উদ্বেগের সমাধান করতে পারে যেমন ত্বকের নিস্তেজতা, ব্রণ বা সুখ রেখা। এক্সফোলিয়েটিং স্কিনের মৃত কোষগুলি অরোপসরণ করতে সাহায্য করে এবং নতুন কোষের বৃদ্ধির প্রচার করে।
৫) সিরামের ব্যবহার
Src: Google
সিরামের হালকা টেক্সচার ভারী ক্রিমের তুলনায় বেশি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম বিশেষ করে যেখানে তার সচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। অনেক সিরুমে হাইলুরোনিক অ্যাসিডের মতো হাইড্রেটিং উপাদান থাকে যা আদ্রতা আকর্ষণ করে ত্বককে হাইড্রেটেড করে তোলে। সিরামে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট স্কিনকে পরিবেশগত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
৬) ত্বকের ধরণ অনুযায়ী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের ব্যবহার
স্কিনের সঠিক উজ্জ্বলতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত। যেহেতু বিভিন্ন ধরণের ত্বকের যেমন তৈলাক্ত, শুস্ক এবং সংবেদনশীল ত্বকের আলাদা আলাদা টার্গেটেড সলিউশন এর প্রয়োজন থাকে তাই মেয়েদের সর্বপ্রথম কাজ হল তাদের স্কিনের ধরণ বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের ব্যবহার করা।
৭) পর্যাপ্ত জলপান
চমকপ্রদ এবং আকর্ষণীয় স্কিন বিউটির ক্ষেত্রে কৃত্রিম প্রোডাক্ট বা ক্রিম এসব ব্যবহারের তুলনায় শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখার দিকে বেশি করে নজর দিতে হবে। যেহেতু হাইড্রেশন ত্বকের আদ্রতার মাত্রা বজায় রেখে ত্বকের শুস্কতা হ্রাস করতে পারে তাই পর্যাপ্ত জলপান স্কিন কেয়ার টিপস এর একটি বিশিষ্ট উপাদান যা মেনে চলা ভীষণই জরুরি। অতিরিক্ত বা পর্যাপ্ত জলপান মুখের জেল্লা বা গ্লো বাড়াতে প্রচুর সাহায্য করে।